ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সৃষ্ট এ যানজট আজ বুধবার সকাল পৌনে দশটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পুলিশ ও যানজটে ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি শুরু হবে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এই সুযোগে মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল বিকেল থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করেন। তবে বাস না পেয়ে মানুষ ট্রাক, পিকআপ ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা হন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিনের ছুটি পরেছে। এক দিকে রাস্তা ভাঙ্গাচোরা, অপর দিকে মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনের জন্য থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের গোড়াই-হাটুভাঙ্গা আন্ডারপাস এলাকায় ৫০০শ মিটার রাস্তার বেহাল দশা ও আন্ডারপাসের কাজ বন্ধ থাকায় দুই পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস বন্ধ হয়েছে। রাস্তায় বাস চলছে না। বাস রিজার্ভ করে মানুষ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চারলেনের কাজ চলছে। পাশাপাশি হঠাৎ প্রচুর মানুষ ঘরমুখী হওয়ায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।