সিলেটের জকিগঞ্জে বিয়ের চার দিনের মাথায় নববধূর যৌনাঙ্গ কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছেন তার স্বামী। সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী নববধূ ২৪ জুন (সোমবার) জকিগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছেন।
যৌতুকের দাবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় এই নববধূকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের চার দিনের মাথায় নববধূর স্পর্শকাতর অংশে রক্তাক্ত জখম করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় স্বামী। এ ঘটনায় গত সোমবার জকিগঞ্জ থানায় মামলা হয়।
বীভৎস ঘটনাটি ঘটে জকিগঞ্জ উপজেলার চারিগ্রামে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নাজিম উদ্দিন (৩৩)। সে চারিগ্রামের মৃত মুচব্বির আলীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, চারিগ্রামের মৃত মুচব্বির আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিনের (৩৩) সঙ্গে গত ১৩ জুন হরাইত্রিলোচন গ্রামের দিনমজুর আব্দুল গফুরের মেয়ে মামলার বাদী রুনা বেগমের বিয়ে হয়।
বিয়ের প্রথম রাতেই রুনার স্বামী নাজিম উদ্দিন স্ত্রীকে বলেন, বিয়েতে তার প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সে টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিওয়ার জন্য রুনাকে চাপ দেন। ১৭ জুন গভীর রাতে যৌতুকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডার সময় গামছা ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধরের এক পর্যায়ে রুনার যৌনাঙ্গ কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলে। এতে রুনা অজ্ঞান হয়ে যান। ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্যাসচালিত অটোরিকশা (সিএনজি) দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্বামী নাজিম।
রুনাকে প্রথমে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুনার বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, পাঁচ দিন পুড়ি (মেয়ে) আসপাতাল (হাসপাতাল) আছিল। আইজ পর্যন্ত সে পুরাপুরি বালা অয়নাই। ৫ বাচ্চার মাঝে রুনা আমার বড় পুড়ি। ধার করজ কইরা পুড়িরে বিয়া দিছিলাম। নাজিম আমার পুড়ির সর্বনাশ করল। আমি ওর বিচার চাই।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জঘন্য ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস