বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে রিমান্ডে নিযে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন– রাসেল চন্দন, মো. হাসান ও মো. নাজমুল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ূন কবির শুক্রবার সকালে তাদের বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেল চন্দন ও মো. হাসানের সাতদিন করে এবং মো. নাজমুলের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার তিন আসামির মধ্যে চন্দন মামলার চার নম্বর এবং মো. হাসান ৯ নম্বর আসামি। এছাড়া নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে।
গত বুধবার সকালে বরগুনা শহরে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পাশে থাকা অনেকে এ তাণ্ডব দেখলেও কেউ সন্ত্রাসীদের ঠেকানোর চেষ্টা করেনি।
এ হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে কোনো রকমে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালান রিফাত। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। দুই যুবক রামদা দিয়ে তার সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী মিন্নি এ সময় একবার নয়নকে, আরেকবার নয়নের সহযোগী রিফাত ফরাজীকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তিনি \’বাঁচাও\’, \’বাঁচাও\’, \’না\’ \’না\’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু ততক্ষণে রামদার কোপে গুরুতর জখম হন রিফাত। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ জানান, দুই মাস আগে রিফাত বরগুনার পুলিশ লাইন এলাকার কিশোরের মেয়ে আয়শা আক্তার মিন্নিকে বিয়ে করে। এর পর থেকেই নয়ন মিন্নিকে উত্ত্যক্ত ও ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এ নিয়ে রিফাতের সঙ্গে নয়নের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে নয়ন ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা বৃহস্পতিবার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরই মধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার মূল আসামিরা।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি