গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করছেন বাবা-মা। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি সত্য কিনা সেই তথ্য নিশ্চিত হতে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এর আগে শুক্রবার দুপুরে পরিবার দুটির খোঁজ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ছোলাইমান আলী।
এ সময় সন্তান বিক্রি করা হাবিল মিয়া ও তার স্ত্রী এবং আশরাফুল ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ইউএনও মো. ছোলাইমান আলীকে জানান, অভাবের সংসারে এই সন্তানদের প্রতিপালন করা খুবই কঠিন। তাই সন্তানরা যাতে ভালোভাবে বড় ও মানুষ হতে পারে সেজন্যই তাদের দত্তক দিয়েছেন। আর দত্তক গ্রহিতা নিঃসন্তান দম্পতিরা খুশি হয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়াসহ সামান্য কিছু টাকা দিয়েছেন। তারা তাদের সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ নেন এবং শিশুরা ওই তিন পরিবারের সঙ্গে ভালো আছে। তবে গণমাধ্যমের কাছে শিশুদের দত্তক নেয়া পরিবারগুলোর পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি হাবিল মিয়া ও আশরাফুল।
এদিকে ঘটনার সত্যতা মেলায় পরিবার দুটির অভাব ঘোচাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছোলাইমান আলী জানান, অসহায় পরিবার দুটির পাশে এখন থেকে উপজেলা প্রশাসন থাকবে। তাদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন সহায়তায় দেয়া হবে। এছাড়া হাবিলের এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়া হবে ও আশরাফুলকে স্বাবলম্বী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, হাবিল ও আশরাফুলের পরিবার অত্যন্ত গরিব। অভাবের কারণে ললনপালন করতে না পেরে নিজের সন্তানদের দিয়েছেন অন্যের হাতে। তাই তিনি পরিবার দুটিকে নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন এবং তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদকে বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডির আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস