বড়লেখায় খুন হওয়া নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদের ব্যাগ থেকে। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সোমবার (২৭ মে) মোবাইলটি উদ্ধার করে। তানভীর ওই আইনজীবীর বাবার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক বলেন, আবিদা সুলতানা হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মসজিদের ইমাম তানভীরকে সোমবার দুপুরে উপজেলার বরুণা মাদ্রাসার পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মাদ্রাসায় থাকা তার ব্যাগ থেকে আবিদার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, আবিদা হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানি শেষে প্রধান আসামি ইমাম তানভীর আহমদকে ১০ দিন ও তার স্ত্রী হালিমা সাদিয়া, ভাই আফসার আলম ও মা নেহার বেগমের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ মে) বড়লেখা উপজেলায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাশ কুমার এ আদেশ দেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন হত্যার কারণ সম্পর্কে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে গাছ কাটা, জমি-জমা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিবাদ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখন বলা যাবে না। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূল কারণ জানা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৬ মে) রাত ৩টার দিকে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের বাড়ি থেকে আবিদা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবিদার বাবার বাড়ির ভাড়াটিয়া তানভীরের মা ও স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আবিদার পৈত্রিক বাড়ির ভাড়াটিয়া তানভীর পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে বড়লেখা থানায় নিহতের স্বামী শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামী করা হয়েছে, আবিদা সুলতানাদের বাড়িতে ভাড়া থাকা স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আলম, তার স্ত্রী হালিমা সাদিয়া, ভাই আফসার আলম ও মা নেহার বেগমকে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে এ মামলায় আসামি করা হয় বলে জানিয়েছেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনএসকেবিপি