দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি মৌসুমে আম রপ্তানির প্রথম চালান যাচ্ছে মঙ্গলবার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আলী রেজার বাগান থেকে প্রায় ছয় মেট্রিক টন আম পেড়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এই রপ্তানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথম চালানে সাতক্ষীরার হিমসাগর আম যাবে ফ্রান্স ও ইতালিতে।
এ কার্যক্রমের লক্ষ্যে সোমবার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন, রপ্তানির মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সলিডারিডাড কর্মকর্তা নাজমুন্নাহারসহ অন্যদের উপস্থিতিতে আম ভাঙা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, সলিডারিডাড ও উত্তরণের সহযোগিতায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে এসব আম পৌঁছে যাবে ফ্রান্স ও ইতালিতে। তবে এ বছর অতিরিক্ত তাপ থাকার কারণে এবং আগে থেকে আম পরিপক্ক হওয়া ও রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে চাষিরা বেশিরভাগ গাছের আম স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব আম দেশের বড় বড় সুপারশপে পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সলিডারিডাড কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার জানান, এটা চলতি মৌসুমের প্রথম ধাপের আম রপ্তানি কার্যক্রম। ধাপে ধাপে আরো রপ্তানি করা হবে। তবে বেশিরভাগ চাষি তাদের আম দেশীয় বাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় একটা সংকটের সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া ও ভৌগোলিক কারণে সাতক্ষীরায় অত্যন্ত সুস্বাদু আম উৎপাদন হয়। এখানকার আম অন্যান্য জেলার তুলনায় ন্যূনতম ১৫ দিন আগে পাকে। তাই সাতক্ষীরা থেকে বিপুল আম রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অন্যান্য জেলার সাথে মিলিয়ে সাতক্ষীরায়ও আম পাড়ার একই তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়ায় এখানকার সুস্বাদু ফলটি রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল চাষিদের মধ্যে।