চাচার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জন্ম নেয় ফেলে দেওয়া সেই নবজাতক

রাজধানীর মিরপুর রূপনগর থানা এলাকায় একটি ভবনের ছয়তলা থেকে এক নবজাতককে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে হত্যাকারী নবজাতকের কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ৯ নম্বর সড়কের একটি বাসার নিচ থেকে ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিমল চন্দ্র জানান, এ ঘটনায় রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চারজনের মধ্যে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে নিহতের মাকে। গত শনিবার রাতে ওই কিশোরী মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়েটি নিজের বয়স ১৮ বলেছে। তবে বাবা-মায়ের দাবি, তার বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। এ বছর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।

এসআই বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী মেয়েটি জানায়, তার মা দুই বিয়ে করেছে। সে মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। ওই বাসায় তার মা ও সৎবাবা শাহ্ আলমের সঙ্গে থাকত সে। সৎ বাবা শাহ্ আলমের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন বিদেশ থেকে কিছু দিন আগে দেশে এসেছিলেন। তখন তিনিও রূপনগরের এই বাসাতেই ছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে (সৎ চাচা) শারীরিক সম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয় ওই কিশোরী।’

মামলার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা-বাবা জানার পরে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। গত শুক্রবার ভোররাতে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। এরপরে নবজাতকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।

এসআই পরিমল আরও জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, বাবা শাহ্ আলম ও সৎবাবা বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু বিল্লাহ এখন বিদেশে অবস্থান করছে। আর ওই নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Scroll to Top