নীলফামারীর জলঢাকায় ফেসবুকে ভাতিজিকে নিয়ে গুজব ছড়ানোই ধরা খেয়েছেন চাচা। শনিবার বিকেলে অভিযুক্তকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজাউদ্দৌলা। এ সময় অভিযোগকারী মেয়ের বাবা হাফিজুর রহমান ও মেয়ে হাফিজা আক্তার দুলালী উপস্থিত ছিলেন।
মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তার মেয়ে সদ্য এসএসসি পাস করেছে। স্কুলে থাকাকালীন প্রায়ই ইভটিজিংসহ পথরোধ করে নানান অঙ্গভঙ্গি, অশ্লীল কথাবার্তা বলতো প্রতিবেশী চাচা একরামুল হক (২২) নামের ওই যুবক। সে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়া এলাকার ছাইদুল ইসলামের ছেলে।
এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ওই যুবক নিজের ফেসবুক আইডিতে তার ভাতিজির নাম জড়িয়ে ভুয়া কাবিননামা দিয়ে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। পরে হাফিজুর রহমান হাফিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুজাউদ্দৌলা গ্রেফতার একরামুলকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
জলঢাকা থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।