ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভোলায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর চাপায় রানু বেগম নামে ৫০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোরে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ওই নারী নিহত হন। নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ভারী বর্ষণের সঙ্গে প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া ও কোড়ালিয়া গ্রামের দুই শতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে বেড়িবাঁধে বসবাসকারী রানু বেগম নামে এক নারী মারা যায়।
অপরদিকে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হেলাল ও মামুন জানান, ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে ইউনিয়নের ঢ়াড়ী বাড়ি, পাটওয়ারী বাড়ি, সরদার বাড়িসহ বেড়িবাঁধের প্রায় দেড় শতাধিক ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় ঘরচাপায় বেড়িবাঁধের বাসিন্দা রানু বেগম নিহত হয়।
কোড়ালিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মমতাজ ও শাহিনা বেগম বলেন, ভোরে ঘূর্ণিঝড় আসার সময় স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে আশ্রয়কেন্দ্র তালা মারা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে ঝড়ে তাদের ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পান তারা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে এবং আর্থিক সহায়তা করা হবে। এছাড়া নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে।