রাজশাহী, বাগেরহাট ও লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারে শ্যালো ইঞ্চিন চালিত ট্রলির ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাসের হেলপার আবু হানিফ (২৮), বাসের যাত্রী উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বান্ডাবটতলা গ্রামের মনসুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২) ও একই ইউনিয়নের হরিরামপুর দ্বারপাড়া গ্রামের পিয়ার উদ্দিনের স্ত্রী বাদল বেওয়া (৬৫)।
বাঘা থানা পুলিশের ওসি মহসিন আলী জানান, রাব্বী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস বাঘা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল। মীরগঞ্জ বাজারের পাশে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় এটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসের হেলপার ও দুই নারী যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ও দলকল কর্মীরা গিয়ে আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে বাঘা ও চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এদিকে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মানিডাঙ্গা এলাকায় ট্রাক ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই মাহেন্দ্রর যাত্রী বলে জানিয়েছেন রামপাল হাইওয়ে থানার এসআই মলয় রায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপালের চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সোহাগ শেখ (৩৫) ও একই উপজেলার মাকোরডন গ্রামের সঞ্জিত রায় (৪৭)
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটির সামনে চলে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। আহতের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে লক্ষ্মীপুরে ট্রাকচাপায় দুখু মিয়া নামে এক সিএনজি চালিত আটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গেছে। এ সময় আরও দুই অটোরিকশা চালক আহত হন।
বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের উত্তর তেমুহনী স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪টি অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। নিহত দুখু মিয়া রামগঞ্জ উপজেলার পদ্মাবাজার গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় চালক নুর হোসেন ও ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তবে আহত নুর হোসেনের আবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশ জানায়, রায়পুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রাক ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাগুলোকে চাপা দেয়। এ সময় এক অটোরিকশা চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার সময় তিনি অটোরিকশার ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হন আরো দুই চালক।
লক্ষ্মীপুরে শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) সোলাইমান বলেন, ঘটনার পর ট্রাকচালক ও সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। তবে ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।