পহেলা বৈশাখে মোটর সাইকেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এবারের নির্দেশনায় একটু ভিন্নতা এনেছে নগর পুলিশ। আর সেটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখে শুধু স্ত্রীকেই বাইকের পেছনে বসানো যাবে, অন্য কাউকে নয়। চালক ছাড়া অন্য কোনো আরোহী বহন করা যাবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে নগরীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে তল্লাশি চৌকি। এ ছাড়া যেসব এলাকায় বর্ষবরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলোতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এসব এলাকায় পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুরুষ ও নারী পুলিশ সদস্যরা থাকবেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে- মোটর সাইকেলে একযোগে বা দলগতভাবে চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি বা যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, নগরীর বাসিন্দাদের সতর্ক করে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্ষবরণের দিন কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না। পুলিশের নির্দেশনার বাইরে গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ব্যাগ, থলে, পোঁটলা, সুটকেস, টিফিন ক্যারিয়ার বা এ ধরনের কোনো বস্তু বহন না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া ট্রাকে বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ডবক্স নিয়ে নগরীর ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। কোনো ধরনের রঙ ছিটানো যাবে না।
তিনি জানান, অনুমোদিত অনুষ্ঠান আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপন বা ভিডিও চিত্র ধারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশের এই নির্দেশনা রোববার রাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
জেদান আল মুসা জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য শনিবার থেকে নগরজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি ইউনিট সার্বিক অবস্থা তদারকি করছে বলে তিনি জানান। বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।