কারাগারে মারা গেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ শামীম আরজু। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার মৃত্যু অভিযোগ করে তার স্ত্রী হাসিনা শামীম এর বিচার আল্লাহ কাছে ছেড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন এ বিএনপি নেতা। এরপর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
এর আগে সকালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উঠলে আরজুকে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাকে আবারও নেয়া হয় কারাগারে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়।
তার স্ত্রী হাসিনা শামীম বলেন, বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে (আরজু) পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অসুস্থ অবস্থায় ২৬ মার্চ কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন আরজু। কিন্তু কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায়। মিথ্যা কলঙ্ক নিয়ে তাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো। যাদের জন্য আমার স্বামীর মৃত্যু হলো তাদের বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বিএনপি নেতা আরজুর মৃত্যু হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা ছিল তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার। গুরুতর অসুস্থ আরজুকে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কেন তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলো। সে সময় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলে হয়ত এমন পরিণতি নাও হতে পারত।
উল্লেখ্য, এমএ শামীম আরজু কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন তিনি।