নির্বাক মা শিরিন আক্তার। নিথর হয়ে পড়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়। আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো মায়ের নয়নের মনি নুসরাত জাহান রাফিকে। বাবা আবু মুসা কিছুক্ষণ পরপর হাউমাউ করে কেঁদে উঠছিলেন। ভাই রায়হানের বুকফাটা কান্না। মুখে কোনো কথা নেই তার। এমন দৃশ্য বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
বুধবার রাত সোয়া ১০টায় আইসিইউর বাইরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তাকে দেখে নুসরাতের বাবা ও ভাই জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন।
এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন তাকে বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি তাও আপনার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।
এর আগে, বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা মারা যান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি।
এদিকে নুরসাতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলার এই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়াও নুসরাতের মাদরাসা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গেটেও পুলিশ সরব উপস্থিতিও দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, নুসরাত এর মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। আমরা আশেপাশে সকল স্থানে টহল দেবো। যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।