ময়নসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঈশ্বরগঞ্জ রেলস্টেশনের একটি পরিত্যক্ত একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর থানার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ওই কিশোরী কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ট্রেনে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। শনিবার রাতে মাহফুজ মেয়েটিকে নিয়ে সোহাগী স্টেশনে নেমে অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি সাহেবনগর নিয়ে যেতে চায়।
মেয়েটি যেতে অস্বীকৃতি জানালে মাহফুজ ঢাকা পাঠানোর উদ্দেশে আবার ঈশ্বরগঞ্জ রেলস্টেশনে নিয়ে আসে। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার ট্রেন না থাকায় ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনে ঘোরাফেরার সময় সুজন ও তার সহযোগীরা স্টেশনের পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
পরে সেখান থেকে মেয়েটিকে একটি বাসায় নিয়ে সুজন, রনি, বাবুল, স্বপন চেপে ধরে আর বাপ্পা ও মাহফুজ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রবিবার ভোরে বাসা থেকে মেয়েটিকে বের করে দেয় তারা। একইসঙ্গে এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে। কিন্তু ওই কিশোরী বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান।
স্থানীয় মাতাব্বররা বিচারের আশ্বাসে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌর শহরের ধামদি এলাকা থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সঙ্গে পুলিশ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাহফুজ, বাপ্পা ও বাবুলকে আটক করে।
খবর পেয়ে ধর্ষিতার মা এসে বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।