নিখোঁজ হওয়ার ৩৮ ঘণ্টা পর পুলিশি অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ইডেন কলেজের বিবিএস’র ছাত্রী সেই নাফিসা নেওয়াজ বিন্দুকে।
নাফিসা নেওয়াজ বিন্দুকে উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নেওয়াজ বলেন, ‘ইডেনের ছাত্রী বিন্দু তার মায়ের সাথে রাগ করে বান্ধবীর বাসায় ছিল। পরে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তাকে আজ বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ভোরে উদ্ধার করেছি। বর্তমানে সেই ছাত্রীটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।’
ওসি কাজী নেওয়াজ আরও বলেন, ঢাকা থেকে গাজীপুরে খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা সেখানে পৌঁ তিনি। পরে খালার বাসায় না গিয়ে সেখান থেকে মোবাইল ফোন হারিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার বান্ধবীর বাসায় ছিল। সেখান থেকে আমরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, এরআগে বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা খালার বাসায় যাবার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা দেন নাফিসা। কমলাপুর ট্রেনস্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনে উঠেন নাফিসা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উত্তরা স্টেশনে নামতে পারেনি তিনি।
বিকেলের দিকে বিন্দু তার মাকে শেষ বারের মতো ফোন দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন ‘মা আমি উত্তরা স্টেশন মিস করে ফেলছি। এখন ট্রেন কোথায় আছে জায়গাটা চিনতে পারছি না। পরের স্টেশন এলে নেমে বাস ধরে যাবো।’
এরপর আবার ফোন করে মাকে নাফিসা বলেন মা আমি গাজীপুরের দিকে আছি (ট্রেনে)। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাফিসার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার মার। এরপর অনেকবার ফোন করলে নাফিসার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ নিয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ডায়েরি নং- ২৪৬। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ি থানার এএসআই নাজনীন হাসান।
বিন্দুর বাবা আব্দুল বাতেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা থানায় জিডি করেছি। বিন্দুকে খুঁজছি আমরা অনেক জায়গাতেই কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না। আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না কি হয়েছে।
বিন্দুর ফুফাত বোন জান্নাতুল মারদিয়া বলেন, গতকাল থেকে নিখোঁজ বিন্দু। সে তার ফুফুর বাসায় যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি শেষবার ফোনে জানিয়েছিলো গাজীপুরে আছে বিন্দু। এরপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রেমঘটিত কোন কারণ কিনা জানতে চাইলে জান্নাতুল বলেন, না, তবে একটা ছেলের সাথে বিন্দু সম্পর্ক ছিল যেটা পারিবারিক ভাবে সবাই জানে। ওই ছেলের সাথে বিন্দু বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।