কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে হাশেম ডাকাত (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড় থেকে নেমে এসে হত্যাকাণ্ড শেষে বীরদর্পে পাহাড়ে ফিরেও গেছে তারা।
জানা যায়, উগ্রপন্থী সংগঠনের পোশাক পরিহিত এবং মুখোশধারী ১০/১২ জনের স্বশস্ত্র একটি গ্রুপ ক্যাম্পের এইচ ব্লকে গিয়ে পীর মোহাম্মদের পুত্র ও কথিত শিশু অপহরণের হোতা হাশেমকে (৩৫) এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত স্বজন ও রোহিঙ্গারা একটি ভ্যানে গুলিবিদ্ধ হাশেমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সোয়া ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পের এইচ ব্লক হতে গুলিবিদ্ধ হাশেমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া শিশু কাউছারের স্বজনরা জানান, শিশু অপহরণের অভিযোগে আটক দুই রোহিঙ্গা স্বীকারোক্তিতে তাদের এই অপকর্মের মূল নায়ক ছিলেন হাশেম।
ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা, খুন, ভাড়াটে, মাদকের চালান লুটপাট ও শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ বাণিজ্য নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এই ধরনের অপতৎপরতায় প্রাণহানির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি, স্থানীয় পার্শ্ববর্তী জনসাধারণ পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়েছে। ক্যাম্পে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।