রাজধানীর সচিবালয়ে আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এখানে অনেক ক্রাউড। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, শত শত মানুষ। হাসনাত আব্দুল্লাহর বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আরও ৪৮ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এরপর হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, সচিবালয়ে আনসার ও ছাত্র সংঘর্ষে আমাদের এখানে ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল রোববার সকাল থেকে চাকরি জাতীয়করণসহ নানা দাবিতে সচিবালয়ের বাইরে অবস্থান নেন আনসার সদস্যরা। এতে সচিবালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিকালে অন্তর্বতী সরকারের তিন উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে- স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করে সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে একত্র হওয়ার আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
তার ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছালে সেখানে তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ দুই পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সচিবালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) তার চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে।