আজ বৃহস্পতিবার উদযাপিত হচ্ছে মহান ত্যাগের মহিমায় মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতিমধ্যে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে। এর এক ঘণ্টা পরপর চারটি এবং শেষ জামাত ৪৫ মিনিট পর অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া জাতীয় ঈদগাহের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে জাতীয় ঈদগাহের ঈদের প্রধান জামাত পরিবর্তিত হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ১০ জিলহজ ১৪৪৪ হিজরি বৃহস্পতিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ওই জামাতগুলো নিম্নোক্ত আলেমরা ইমাম ও মুকাব্বিররা দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রথম জামাত: সকাল ৭টা, ইমাম: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ খাদেম আব্দুল হাদী।
দ্বিতীয় জামাত: সকাল ৮টা, ইমাম: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত: সকাল ৯টা, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
চতুর্থ জামাত: সকাল ১০টা, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান সিকদার। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. রুহুল আমিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত: সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।
এই পাঁচটি জামাতে যদি কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকেন তবে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা জাকির হোসেন, উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দান। এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এবারই প্রথম এই ঈদের জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।