নগর পরিবহনে ১০০টি ইলেকট্রিক বাস যুক্ত হচ্ছে : মেয়র তাপস

চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদিও ছোটখাটো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তারপরও ঢাকা নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। সুনির্দিষ্টভাবে এসব ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করছি এবং সেগুলো সংশোধন করছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনে বিআরটিসি’র মাধ্যমে ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করব। এর মাধ্যমে ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বায়ু দূষণের যে তকমা আমরা শুনি, সেখান থেকেও আমরা এগিয়ে যেতে পারব, বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারব।’

আজ নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

এ সময় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই পুরো যাত্রাপথটি এখন বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে। বিআরটিসি সেটা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ট্রান্স সিলভার সকল অনুমতি বাতিল করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- ঢাকা নগর পরিবহনে তাদের যেসব বাস ছিল, যেগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সেগুলো জব্দ করব। সুতরাং ২১ নম্বর ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।’

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরবান ক্লাস্টারের ৬টি এবং সাব আরবানের ৩টি মিলে ৯টি ক্লাস্টার করা হবে। প্রথমে গ্রীন ক্লাস্টার নিয়ে আমরা কাজ করছি। যেখানে ২১ থেকে ২৮ নম্বর মোট ৮ টি রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। তার পরিকল্পনা হিসেবে ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং আজকে ২৭ ও ২৮ এই মোট ৮টি রুট অন্তর্ভুক্ত হলো। আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- ২৭ ও ২৮ নম্বর রুট চালুর লক্ষ্যে টেন্ডার আহবান করা হবে। সভার একটি সার্থকতা বলতে চাই- আমরা টোটাল গ্রীন ক্লাস্টার যেটা আছে, এটি একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে বেশ অগ্রসর হতে পারছি।’

ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর সিটি মেয়র বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে। এ সংখ্যা কমানোর চেষ্টা চলছে। এসব বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২১, ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে যথাক্রমে ২১ মে থেকে ১ জুন, ১১ জুন থেকে ১৫ জুন ও ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথভাবে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করবে। পুরতন রুট পারমিট বিহীন, ফিটনেস বিহীন কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। নগর পরিবহনে কোন পুরাতন বাস অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র নতুন বাস দিয়েই নগর পরিবহন পরিচালিত হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সূত্রঃ বাসস