আতঙ্কের প্রহর এবার কাটলো। তিতাস রাজধানীবাসীকে নিশ্চিন্তে গ্যাসের চুলার জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছে। গ্যাস কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সবাই নিশ্চিতে চুলা জ্বালাতে পারেন।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এখন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঈদে বিভিন্ন শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাসের চাপ বেড়ে কিছু এলাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার সমাধান হয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের মধ্যে নিরাপত্তার জন্যই গন্ধ দেওয়া হয়। যাতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়। আমরা সব ঠিক করেছি।
গতকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে শুরু করে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বরাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এসময় নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক পোস্টে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে শুরু করলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নগরবাসী। নগরবাসীর দেওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ফোনে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন দূরের স্বজনরা।
রাতে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা থেকে আমরা ফোনকল পেয়েছি। তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মগবাজার এলাকায় গ্যাস লিক হচ্ছে। রাস্তায় হাঁটার সময় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মসজিদে মাইকিং করে চুলা না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া মতিঝিল, আরামবাগ, মগবাজার, বাড্ডা, বাসাবো, মুগদা নাখালপাড়া, জিগাতলা, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় এই অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, আমরা তিতাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় হুট করে এই লিখেজ হয়েছে। তারা লিকেজগুলো শনাক্ত করে গ্যাসের লাইন ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রাতেই তিতাসের গুলশান টিমের সুপারভাইজার আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা চাপ কমিয়ে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।