রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঈদের দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।
জাতীয় ঈদগাহে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। নামাজের মাঠ ও এর আশপাশে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এছাড়া দুই সিটি করপোরেশনেই এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় হবে। বাসস জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২ হাজার ৭৭টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫টি করে মোট ২৭০টি স্থানে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর দক্ষিণ সিটির আয়োজনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী। তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী।
চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম।
এছাড়া পাঁচটি জামাতের কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অপরদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আবহাওয়া প্রতিকূল কিংবা অনিবার্য কারণে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ থেকে পরিবর্তিত হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টার জামাতের সঙ্গে একীভূত হবে এবং এ জামাতে রাষ্ট্রপতি নামাজ আদায় করবেন।