ডিবি পুলিশ সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে

বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবিপ্রধান জানান, ডিবি থেকে নিষেধ করার পরও সাকিব ও হিরো আলম দুবাইয়ে গিয়েছেন। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। জুয়েলারির দোকানে কাদের বিনিয়োগ আছে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরও সাকিব দুবাইয়ের সেই আলোচিত আরাভ জুয়েলারি উদ্বোধন করেন। কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির ভিড় ঠেলে ওই প্রতিষ্ঠানে এলেও মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৬ নম্বর পলাতক আসামি আরাভ খান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তার জুয়েলারি শপ \’আরাভ জুয়েলার্স\’ উদ্বোধন করতে গিয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

সেই হত্যা মামলার এজাহার অনুযায়ী, আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। পুলিশে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রেও তাকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে।

পুলিশ সদস্য মামুন খুনের এ মামলায় আরাভের বদলে আবু ইউসুফ লিমন নামের এক তরুণকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) খেলার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি হিসেবে লিমনকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জানাজানি হলে আদালত লিমনকে খালাস দেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ সূত্রে কালবেলা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় আরাভ খানকে ডিবি পুলিশেও ডাকা হয়েছিল। অবশ্য পরে পাসপোর্টের নাম পরিবর্তন করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান।

জানা যায়, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে খুন হন মামুন ইমরান খান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ জুলাই মামুনের ভাই ঢাকার বনানী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলা ও নথিপত্রের সূত্রে জানা গেছে, নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বিত্তশালীদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের কবলে পড়েন মামুন ইমরান খান। এরপর তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে গাজীপুরের জঙ্গলে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।

এ মামলার ৬ নম্বর আসামি হলেন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। তিনি পলাতক। কিন্তু তার পরিবর্তে আবু ইউসুফ লিমনকে ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করানো হয় এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। মামলার প্রকৃত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপনের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামে।

Scroll to Top