গণমাধ্যমে স্বাধীনতা নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি) সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ এমএফসি মিডিয়া নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ গঠন করা এবং প্রেস ফ্রিডমকে সমর্থন দেয়ায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। নেটওয়ার্ক গঠন অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
উপস্থিত ব্যক্তিরা অনলাইন মিডিয়ায় সেন্সর, সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়সহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন দিতে এমএফসি এসব ইস্যু গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকার এবং অপরাপর অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে বদ্ধপরিকর।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন হলো বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলোর অংশীদারিত্ব যা অনলাইন ও অফলাইন উভয় প্রকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য ওকালতি করে। এমএফসি সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের নিরাপত্তার জন্যও কাজ করে। এটি যারা সাংবাদিকদের ক্ষতি করে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনে।
দ্য ডিপ্লোম্যাটিক নেটওয়ার্ক হলো গোটা বিশ্বের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। এমএফসি সদস্য দেশগুলোর কূটনৈতিক মিশনগুলো বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিবিড়ভাবে মনিটর করে। পাশাপাশি, গণমাধ্যমে স্বাধীনতা সুরক্ষায় আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০১৯ সালে বৈশ্বিক মিডিয়া কনফারেন্সের মাধ্যমে এমএফসি গঠিত হয়।
বৈঠকে এমএফসি সদস্য রাষ্ট্র কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।