রাজধানীর গুলশানে অভিযান চলাকালে ভবন থেকে লাফিয়ে ফারজানা বেগম (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরেকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওই দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর বলেন, ‘গুলশান ২ নম্বর এর ৪৭ নম্বর রোডে একটি ভবনে অভিযান চলে, এতে তারা লাফিয়ে পরে গুরুতর আহত হয়। পরে আমাদের মাধ্যমে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আমরা শুধু নিয়ে এসেছি।’
কারা, কিসের অভিযান চালিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমি শুধু নিয়ে এসেছি। বিস্তারিত জানতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ফারজানাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ফারজানার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ফারজানার স্বামী জাহিদ হাসান বলেন, সংবাদ শুনে হাসপাতালে এসেছেন তিনি। দুই বছর আগে তিনি ফারজানাকে বিয়ে করেন। তারা খিলক্ষেত বটতলা এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়া ডাঙ্গায়।
জাহিদ আরও বলেন, তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোন আফসানা গুলশানের কোনো একটি পারলারে কাজের উদ্দেশ্যে বুধবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি সংবাদ পান যে, ফারজানা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর তার বড় বোন আফসানা থানায় আটক আছেন।