তীব্র শীতে কাবু সারা দেশ। এ যেন মাঘ না আসতের বাঘের কাঁপুনি ছুটে যাওয়ার অবস্থা। একই অবস্থা রাজধানী ঢাকাতেও। জবুথবু হয়ে আছেন ছিন্নমূলের মানুষেরা।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এমন কুয়াশা আরো দু-এক দিন থাকবে। একটানা হয়তো নাও থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমায় শীত বাড়ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জাকির জানান, হিম বাতাসের সাথে নগরীতে শীত জেঁকে বসলেও রাত ৩টার দিকে কাঁপতে কাঁপতেই তাকে সড়কে ছুটতে হয়। শীত যতই হোক, কাজের সাথে আপসের সুযোগ নেই।
টানা কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমার প্রবণতার মধ্যে পৌষের মাঝামাঝি দেশের সর্বত্র শীত ও কুয়াশার দাপট বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তরের হিম হাওয়ার বেগ টের পাচ্ছেন ঢাকাবাসী।
সকাল সকাল কাঁপতে কাঁপতে স্কুলমুখী হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। নগরীর শ্রমজীবী আর পেশাজীবীরাও গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।
ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার বিকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো: আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানজনিত কারণে যে শীতের তীব্রতা এটা আরো দু-এক দিন থাকতে পারে। শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে সেটা স্থায়ী হবে না, দু-এক দিন পর হয়তো আবার পরিস্থিতি এমনই থাকবে।
সকাল ৯টা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। এখন পর্যন্ত সবগুলো স্টেশনের তাপমাত্রার তথ্য এসে পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি।