ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সারফেস ড্রেন ও খালে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। রাজধানীতে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনাকালে মেয়র আজ এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে আজ থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। সারফেস ড্রেনে ও খালে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। কোনভানেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না।’
এসময় তিনি বলেন, ‘গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন এলাকায় সরেজমিনে সার্ভে করেছি। সার্ভেতে পেয়েছি প্রায় ৮৫ শতাংশ বাড়িতেই পয়ঃবর্জ্যের লাইন সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। এমনকি অনেকে চোরাই পথে সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যরে লাইন দিয়েছে। অভিজাত এলাকায়ই এতো সমস্যা এটি এলার্মিং। এতে খাল ও লেকের পানি দূষিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আমি কলাগাছ দিয়ে ড্রেনের সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছি। ফলে ময়লা ব্যাক ফ্লো করবে। এখন বাড়ির মালিকরা সচেতন হতে বাধ্য। শহরকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এসব সংযোগ বন্ধ করেছি। ওয়াসা পানির দ্বিগুণ সুয়ারেজ বিল নিলেও কাঙ্খিত সেবা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রতিনিধি, আইটিএন বুয়েট এর প্রতিনিধি, হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধি এবং ইউনিসেফ এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে স্যানিটেশন কমপ্ল্যায়েন্স কমিটি জরিপ কাজটির তত্ত্বাবধান করেন। চারটি এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। এই বাড়িগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সারফেস ড্রেন ও লেকে পড়েছে। মাত্র ৪১টি বাড়িতে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সঠিকভাবে দেয়া আছে এবং ৫২৪টি বাড়িতে আংশিকভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।
অভিযানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সূত্রঃ বাসস