আজ মেয়র আনিসুল হকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র, সফল উদ্যোক্তা আনিসুল হকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০১৭ সালে আজকের এইদিনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান।

এর আগে একই বছরের ২৯ জুলাই আনিসুল হক ব্যক্তিগত সফরে পরিবার নিয়ে লন্ডনে যান। সেখানে তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ) আক্রান্ত হন।

আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) প্রয়াত মেয়রের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আনিসুল হকের গ্রামের বাড়িতেও কয়েকটি এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হবে। বিভিন্ন মসজিদে করা হবে দোয়া।

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকার বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন আনিসুল হকের স্বজন, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা।

আনিসুল হক ২০১৫ সালে ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়ায় আলোচিত ও প্রশংসতি হন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে ট্রাক টার্মিনালের সামনের সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরে তার নেতৃত্বে ডিএনসিসি ওই সড়ক দখলমুক্ত করে। এ ঘটনায় তিনি রাতারাতি দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পান।

এছাড়া মেয়র নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি ঢাকা শহর থেকে সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন, যা সাধারণ নগরবাসীর কাছে ছিল অবিশ্বাস্য। তার চেষ্টায় বিভিন্ন এলাকার দখল করা পার্কগুলো একের পর এক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শহরের পথচারীদের জন্য আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করেন।

গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বিশেষ রঙের রিকশা এবং ঢাকা চাকা নামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসেবা চালু করেন আনিসুল হক। এছাড়া ঢাকার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তার নির্দেশে বনানীর ২৭ নম্বরে যুদ্ধাপরাধী মোনায়েম খানের বাড়ি ‘বাগ এ মোনায়েম’-এর অবৈধ দখলে থাকা অংশ উদ্ধার করে সড়ক প্রশস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কবিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুল হক, মৃত্যু ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর।