রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ হাজার টাকার তরমুজের দাম কমে নেমে এলো ১২-১৫ হাজার টাকায়। আবার এক নিমেষে ২০ টাকা দাম কমেছে লেবুর হালিতে। আজ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে এমন ম্যাজিকই ঘটেছে কারওয়ান বাজারে। তবে সংস্থাটি বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে ছোট ছোট জরিমানাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। এদিকে দামের এমন আকাশ-পাতাল ওঠানামায় বিক্রেতাদের রয়েছে নানান যুক্তি।
এমনিতেই গরমে ঠান্ডা পানীয় তৈরির উপাদান হিসেবে তরমুজের কদর বাড়ে। আবার রমজান এলে এর চাহিদা বেড়ে যায় আরও।
তবে শনিবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টার পর অভিযান শুরু হলে এ ঠান্ডা তরমুজের বাজার থেকেই বের হতে থাকে গরম গরম খবর। কত দামে কিনে কত দামে বিক্রি হচ্ছে, তার হিসাব চাওয়া হচ্ছে আড়তদারদের কাছে। এ সময় মুহূর্তেই বাজারদর নেমে আসে অর্ধেকে। ক্রেতা-বিক্রেতার যুক্তিতর্কে আরও গরম হয়ে ওঠে বাজার।
পণ্যের অস্বাভাবিক দাম চাওয়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, ১৩ টন পণ্যের ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা। আমাদের ব্যবসা তো শেষ। এ সময় একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমি সকাল ৬টায় এসেছি। এখন বাজে ১১টা। একটি পণ্যও কিনতে পারিনি। ৪-৫ কেজির তরমুজ ৩০০ টাকা পিস চাচ্ছে। এটি নিয়ে কোথায় বিক্রি করব? আড়তদার ও বেপারিরা একযোগে বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।’
তবে বড় বড় অভিযোগের প্রমাণ হাতেনাতে পেলেও ছোট জরিমানা আর বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘৫ কেজির একটি পণ্যের পিসের দাম পড়ে ২৮-৩০ টাকা। যদি ৩০ টাকার পণ্য ৭৫ টাকা হয়ে যায়, তাহলে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা হয়। আমরা পাইকারি পর্যায়ে নজরদারি কঠোর করছি। তারা কেজি না পিসে বিক্রি করছে, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, তারা কত দামে কিনছে এবং কত দামে বিক্রি করছে।’
এরপর সংস্থাটি বেগুন-শসা-লেবুর বাজারে যায়। এখানেও তাদের উপস্থিতিতে এক হালি লেবুর দাম কমে যায় ২০ টাকা। তবে ভোক্তা অধিকার যাওয়ার পর আবারও দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
পরবর্তী সময়ে তেল, ডাল ও মাছের বাজারেও তদারকি চালানো হয়।