নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন চালকদের বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত অনেক হাসপাতাল নির্দেশনাই জানে না। আবার কোনোটির নেই পরীক্ষার প্রস্তুতি। হাসপাতালের জনবল সংকটের দোহাই। চালকরা বলছেন, হয়রানিমুক্ত হলেই এগিয়ে আসবেন তারা। সমস্যা কাটিয়ে শিগগিরই পুরোদমে শুরুর আশা করছে।
মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ চালকের বেপরোয়া গতি। প্রতিদিন ঝরছে প্রাণ। বাদ যাচ্ছে না চালক-সহকারীও। চলন্ত গাড়ি থেকে যাত্রীকে ফেলে দেওয়া, যৌন নির্যাতনসহ নানা রকম হয়রানির ঘটনাও ঘটছে গণপরিবহনে। নানারকম গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ঘটনার জন্য ৬৯ শতাংশই চালকের মাদকাসক্তি দায়ী। এর রেশ টেনে ধরতে আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে একযোগে ডোপ টেস্ট শুরু করেছে বিআরটিএ। যদিও সরকার নির্ধারিত এসব হাসপাতালের কাছে নেই কোনো নির্দেশনা।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সায়দুল ইসলাম বলেন, ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ডোপ টেস্ট সমন্বয় করাটা খুব কঠিন। কারণ আমরা যে সাইটে ইনভেস্টিগেশন করি, সেটার সঙ্গে ডোপ টেস্টটা মিলবে কিনা সেটা নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তারপরও যেটা হচ্ছে যে, সরকারি নির্দেশ আসে তাহলে আমাদের সেভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
সকালে রাজধানীর মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই টাকা জমা দিয়ে সংগ্রহ করছে ডোপ টেস্টের ফরম। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ডোপ টেস্ট যেন হয়রানিমুক্ত হয় সেই দাবি চালকদের।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সারাদেশে একযোগে শুরু হওয়া এ কর্যক্রমে কিছুটা সমস্যা হলেও দ্রুতই সমাধান হবে। বলেন, বায়োমেট্রিক ফাইল জমা দেওয়ার আগেই অন্যান্য কাগজপত্রে সঙ্গে আমাদের অ্যাসাইন যে ল্যাবগুলো আছে, সে ল্যাব থেকে আমাদের নির্ধারিত ফরমে নিয়ে জমা দেবে, তারপর ডোপ টেস্ট হওয়ার পর সার্টিফিকেট আমাদের এখানে জমা দেবে।
সারা দেশে বিআরটিএ লাইসেন্সধারী চালক রয়েছে। নতুন ও নবায়ন করতে চালকের অবশ্যই ডোপ টেস্ট দিতে হবে।