যানবাহনে সরব যাত্রাবাড়ী মহাসড়ক, দেখা মিলছে কিছু বাসেরও

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে। আজ বৃহস্পতিবার চলমান বিধিনিষেধের ৭ম দিনে (২৯ জুলাই) যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছিল বিভিন্ন যানবাহনে সরব। সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, রিকশা, যাত্রীবাহী ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এতদিন ধরে চোখে না পড়লেও গতকাল থেকে এই মহাসড়কে দেখা মিলছে কিছু বাসেরও।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও যাত্রাবাড়ীর এই মহাসড়ক এলাকায় ছিল ঢিলেঢালা। শনির আখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা চেকপোস্টগুলো সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি।

রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল রাইডারদের যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী। তিনি বলেন, “আমাদের পাইকারি মুদি দোকান। দোকান খোলা। প্রতিদিন অনেক কষ্ট করে এইটুকু পথ যেতে হচ্ছে। ভ্যানে করে যাই, ৫০ টাকা ভাড়া নেয়। পথে পুলিশ আটকে দেয়ায় কয়েকবার নেমেও গেছি।”

করোনার টিকা নিতে ঢাকা মেডিকেলে যাবেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “অটোরিকশায় করে সানারপাড় থেকে রায়েরবাগ পর্যন্ত আসছি। পুলিশের ভয়ে অটোরিকশা চালক আর সামনে যাবে না। তাই নেমে পড়ছি।”

তিনি আরও বলেন, “রাস্তার অবস্থা দেখেন, বাস ছাড়া সবই আছে। সবই যখন চলছে বাসটা চালু করলেই হয়, তাতে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমত। একটা মোটরসাইল চালকের সঙ্গে দামদর করলাম, ২০০ টাকার নিচে ঢাকা মেডিকেলে যাবে না। দেখেন মাত্র এইটুকু পথ।”

সরেজমিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি বাসও চলতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা অফিসের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বাসগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা বন্ধ আছে। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।