প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্মান্তরিত হয়ে এক মুসলিম কলেজছাত্রীকে বিয়ে করার মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক হিন্দু গৃহশিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গৃহশিক্ষকসহ পরিবারের তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলো- উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের দিলীপ কুমার শর্মার ছেলে মো. মিঠুন (৩০), তার বাবা দিলীপ কুমার শর্মা (৫৫) ও বড় ভাই কংকট শর্মা (৩২)।
উক্ত কলেজছাত্রীকে জানিয়েছেন, মিঠুন কুমার শর্মা ওরফে মো. মিঠুন গৃহশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে পড়াতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি মেয়ের পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করলে মিঠুন ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। পরে দুজনের পরামর্শে তারা বাড়ি ছেড়ে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মিঠুনের বন্ধুর বোনের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়।
পরে মিঠুন ১ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ওইদিনই তাকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এ সময় তারা ছাত্রীর মামা কামরুজ্জামানের সহযোগিতা নেয়। পরে মিঠুন গত ৫ জুন গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর পপুলার হাসপাতালে সুন্নতে খাতনার কাজও সম্পন্ন করেন।
ভিকটিম আরও জানান, সম্পূর্ণ কাজ করার পর গত বৃহস্পতিবার বিয়ের কাবিন সম্পন্ন করার জন্য তাকে ভাড়া বাড়িতে রেখে কাজি অফিসে যায় মিঠুন। সেখান থেকে বড় ভাই কংকট শর্মা বাবা-মা অসুস্থ থাকার কথা জানিয়ে মিঠুনকে ফুসলিয়ে বাড়ি নিয়ে আটকে রাখে। একবার ফোনে জানিয়েছে তাকে তার পরিবার আটকে রেখেছে। পরে সে মিঠুনের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি।
এদিকে গত সোমবার ভাড়া বাড়ির মালিক ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এখন মিঠুনের পরিবার তাকে আটকে রেখে আমাদের আলাদা করতে চাইছে বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছে। ছাত্রীর চাচা জুয়েল জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই মিঠুনের ভাই কংকট শর্মা তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কংকট শর্মা জানান, তারা মিঠুনকে লুকিয়ে রেখে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার এসআই মো. জিন্নাহ জানান, বিষয়টি প্রেমঘটিত। উভয়পক্ষ জানিয়েছেন মিঠুন ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেছেন। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।