রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে কর্মজীবী নাগরিকরা

রাজধানীতে আজ শনিবার (৫ জুন) সকাল থেকে ৫৫ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। মাঝারি ধরনের ভারী এ বর্ষণেই দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে কর্মজীবী নাগরিকদের। বৃষ্টিতে মিরপুর, ধানমন্ডি, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, মগবাজার, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের। এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামীরা। এছাড়া কর্মজীবী সাধারণ মানুষকে পড়তে উভয় সংকটে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, শনিবার (৫ জুন) সকাল থেকে রাজধানীতে ৫৫ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। অর্থাৎ মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বিকেলেও বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গত ১ জুন চলতি বছরের প্রথম ভারী বর্ষণে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে ছাড়িয়ে গিয়েছিল দুর্ভোগের সীমা। সেদিন ৮০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছিল ঢাকায়।

আব্দুর রহমান জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।

এ অবস্থায় আগামী রোববার (৬ জুন) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

অন্যদিকে মৌসুমে অষ্টমবারের মতো শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু বয়ে যাচ্ছে। এটি কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় এ সময় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ১০৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Scroll to Top