রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ তিনজনের মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে প্রতিবেশী কবির হোসেন জানান, শিশুটি হাসপাতালের ৭ তলায় ভর্তি ছিল। তার মা লাবনি আক্তার (২৫) সেখানেই ভর্তি আছেন। আর শিশুটির বাবা সোহেল (৩৫) আইসিইউতে আছেন। তাদের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের রুমের ভেতরে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমরা ঘুম থেকে উঠে তাদের রুমের সামনে গিয়ে দেখি রুমের ভিতর আগুন জ্বলছে, সোহেল ও লাবনি রুমের বাইরে, তাদের শরীরেও আগুন জ্বলছিল। আর বাচ্চাটি রুমের ভিতরেই ছিল। তখন আমরা বাচ্চাটিকে রুমের ভিতর থেকে বাইরে বের করি। এরপর তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
প্রতিবেশী কবির আরও বলেন, লাবনি অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তার স্বামী সোহেল বেকার। তাদের আরেক মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে। নবোদয় হাউজিংয়ের ‘সি’ ব্লকের ২ নম্বর টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা। ২ মাস আগেই তারা এই বাসায় ভাড়া উঠেছিলেন। কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারছি না।
রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির বাবা ও মায়ের অবস্থাও ভালো না।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সোহেলের শরীরে ৭৫ শতাংশ এবং লাবনির শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মৃত শিশু মোরসালিন ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।