বৈশ্বিক মহামারি করোনা তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ বড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আইসিইউয়ের সন্ধানে মধ্যরাতেও করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন স্বজনরা। জীবন বাঁচানোর তাগিদে মানহীন হাসপাতালে যেতেও দ্বিধা করছেন না তারা।
বুধবার রাত ১টা ৩৫ মিনিট। মুমূর্ষু স্বামীকে নিয়ে এক নারী কুর্মিটোলা হাসপাতাল ছাড়ছেন। ৫ দিন ভর্তি থেকেও আইসিইউ ফাঁকা না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হলেন তারা। রামপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ফাঁকা থাকার খবর পেয়ে সব ফেলে ছুটছেন মধ্যরাতেই তারা।
ঠিক ২০ মিনিট পর আরও একজন মুমূর্ষু রোগীকে বের করা হলো হাসপাতাল থেকে। তারও প্রয়োজন একটি আইসিইউ শয্যার। ক্রমাগত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছেন তারা। দিনরাত জুড়েই এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
লকডাউনের কারণে বুধবার দিনে রোগীর চাপ কম ছিল। তবে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মাঝরাতেও রোগীদের আসতে দেখা যায় এ হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরুর ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কোভিড ডেডিকেটেড কুর্মিটোলার আইসিইউ শয্যা ১০টিতেই থেমে আছে এখনো।
এর আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, করোনা উপদ্রুত যেসব এলাকা আছে, সংক্রমণ ঘন এলাকা সেসব এলাকাতে আইসোলেশন ক্যাম্প করতে হবে দ্রুত এবং সেখানে অক্সিজেন ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।
এদিকে আইসিইউ আর অক্সিজেন রিফিলের জন্য জেলা শহর থেকে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। আইসিইউর আর অক্সিজেন রিফিল না থাকায় করোনার উচ্চঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। সেখানে খোদ রাজধানীর হাসপাতালে এখনো সংক্ষিপ্ত রয়ে গেছে আইসিইউয়ের ব্যবস্থা।