করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার (০৫ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার আওতায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন চালকরা। এ সময় রাজধানীর মগবাজার চৌরাস্তায় ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা বন্ধ করে দেন তারা। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ বুধবার (০৭ এপ্রিল) মগবাজার চৌরাস্তা এলাকায় কয়েকশ রাইডার তাদের মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা রাইড শেয়ারিং চালুর দাবি জানান। এ সময় চারদিকের রাস্তা অবরোধ করেন তারা।
চালকরা জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। এক মোটরসাইকেল চালক জানান, সব যানবাহন চলছে। বিআরটিসির মতো গাড়িতে দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন করছে। সেখানে যদি করোনা না ছড়ায় আমরা একজন যাত্রী নিয়ে কীভাবে করোনা ছড়াই? এসব অত্যাচার আমরা মেনে নিতে চাই না। তাই আজ রাস্তায় নামলাম।
আরেক চালক জানান, কিছু হলেই দু-চার হাজার টাকার মামলা দেয়। আমাদের অন্য কোনো আয় নেই। এটা বন্ধ করলে আমরা কী খাব? আমাদের মোটরসাইকেলের কিস্তি আছে।
২৯ মার্চ করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে রাইড শেয়ারিং এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।