মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই অতিরিক্ত সংক্রমণ রোধে সোমবার (০৫ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। চলমান এই লকডাউনে বন্ধ থাকার পর সিটি করপোরেশন এলাকায় আবারও শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে গত কয়েকদিন অফিসগামী যাত্রীর তুলনায় পরিবহন সংকট থাকলেও এদিনের চিত্র ভিন্ন।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় যাত্রী কম। আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বর্ধিত ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহন। মিরপুর, কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা যায় সড়কে পরিবহন সংকট নেই।
বিকল্প পরিবহনের যাত্রী মো. শাজাহান বলেন, আমি বাসে উঠেছি আগারগাঁও-তালতলা এলাকা থেকে। আজ আমি মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বাস পেয়েছি। আশা করছি মতিঝিল যেতে বেশি সময় লাগবে না। গত দু’দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে জন্য। পাওয়া গেলেও ভাড়া চেয়েছে ও নিয়েছে বেশি। তবে একটু বেশি ভাড়া নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন।
বিকল্প পরিবহনের চালক সাব্বির আহমেদ বলেন, আজকের সড়কে অন্য দিনগুলোর তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। যাত্রীদের চাপ যদি কম থাকে তাহলে মালিকরা সড়কে বাস কম নামাবেন। যাত্রী কম আর বেশিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, মালিকের গাড়ি চালাই। গাড়ি চললে আমাদের বেতন হবে।
শিকড় পরিবহনের যাত্রী আরমান হোসেন বলেন, আমার অফিস ফার্মগেট। আজ আমি সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছাতে পারবো। বাসের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। বাড়তি ভাড়া ও এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে বাস। এক কথায় বলা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গণপরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ পরিবহনে ছিল না। কিছু গণপরিবহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, আগামী বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস চালু থাকবে। তবে দূরপাল্লার গণপরিহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলবৎ রয়েছে।