বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের তাণ্ডবের মামলায় মামুনুল হকসহ আসামিদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর পল্টন থানায় সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। নৈরাজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে কেউ ছাড় পাবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিনে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে বায়তুল মোকাররমে নামাজ শেষে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতে ইসলাম। তাদের তাণ্ডবে আহত হন সাংবাদিক,পুলিশসহ অর্ধশতাধিক সাধারণ মুসল্লিরা।
এ ঘটনা পুলিশ মামলা করলেও সোমবার রাতে পল্টন থানায় হেফাজত নেতা মামুনুলহকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় আরেকটি মামলা করেন একজন এক ব্যবসায়ী। তার অভিযোগ ওই দিন তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ মামলার বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, মামলাটির তদন্ত চলছে। সম্পৃক্ততা পেলেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই দিন মসজিদের ভেতর থেকে হেফাজতের কোন কোন নেতা সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলেও জানান তিনি।
হেফাজতের হরতালের আগে ও পরে সহিংসতায় সারাদেশে একডজনের বেশি মামলা হয়। এটিই প্রথম কোন মামলা যে মামলায় সংগঠনটি বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়।