মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। মশক নিধনের কর্মসূচিতে এসে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের শেষ দিনে খালের ওপর নির্মাণাধীন বিশাল শপিং সেন্টার দেখে, নেমে যান অভিযানে। অবৈধ দখলে ভাগাড়ে পরিণত খালগুলোর কারণেই রাজধানীতে মশা কমছে না বলে মত তার। এর আগে মশক নিধন কর্মীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উদ্বোধন করা হয় বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার অ্যাপস।
ঢাকা উত্তরে মশা নিধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের নবম ও শেষ দিন উত্তরার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মেয়র আতিকুল। হঠাৎ চোখ আটকে যায় খালের গতিপথ আটকে গজিয়ে ওঠা বহুতল শপিং কমপ্লেক্স। মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবারই তখন চোখ কপালে ওঠে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করবেন। তাদের জন্য ম্যাসেজ হচ্ছে কোন নোটিশ দেয়া হবে না। যেখানে অবৈধ নির্মাণ থাকবে বিনা নোটিশে ভাঙা হবে।
অবৈধ দখলের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দখলদারদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তারা।
কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এর আগেই উত্তরের মেয়র দায় চাপিয়েছিলেন খাল-জলাশয়েকে ভাগাড়ে পরিণত করা আর দখলের ওপর। তাই স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নিতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি।
এর আগে মশক নিধন কর্মীদের তদারকিতে বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার অ্যাপস উদ্বোন করেন সিটি মেয়র। এ সময় মেয়র আতিক বলেন, যার যার বাড়ি বা সম্পত্তিতে মশার প্রজনন হচ্ছে তাকেই ধ্বংস করতে হবে।
নয়দিনের কর্মসূচি শেষ হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র।