বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা না করেই রাজধানীর মিরপুর-৩ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হয়। ফলে ওই প্রকল্প এলাকার গৃহস্থালির বর্জ্য প্রকল্পের সামনের রাস্তায় ফেলে আসতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ক্ষুব্ধ হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গতকাল এ নিয়ে ঘটান এক ভিন্ন ঘটনা। প্রকল্প এলাকার ওইসব বর্জ্য সড়কের পাশে ছড়ানো ছিটানো পড়ে থাকতে দেখতে পান মেয়র। তিনি সেগুলো প্রকল্পের মূল ফটকে ফেলে আসতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে সংস্থার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা যন্ত্র দিয়ে সে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রকল্পটির মূল ফটকে রেখে আসেন। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) শুরু করেছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সাগুফতা খাল এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর মিরপুর-৩ নম্বর সেকশনের এ পথ পরিদর্শনের সময় গৃহস্থালির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বর্জ্য অপসারণের পর মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ বর্জ্য রাস্তায় ফেলছেন। এতে নগরের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। এখন তারা জায়গা দিলে এসটিএস নির্মাণ করে দেবে ডিএনসিসি। ১৬ মার্চ পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকায় কিউলেক্স মশা নিধনে সমন্বিত অভিযান চলবে। এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামে ডিএনসিসির ১০ অঞ্চলের সব মশক নিধন কর্মী এবং যান ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে একটি অঞ্চলে নিয়ে এক দিন করে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে।