চটপটির ব্যবসা করতো আল-আমিন । ভালোই চলছিল তার চটপটির ব্যবসা। কিন্তু হঠাৎ অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আকাঙ্ক্ষা তাকে পেয়ে বসে। বড়লোক হতে হবে, অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি করে প্রচুর টাকা রোজগার করতে হবে, বাড়ি, গাড়ি করতে হবে।
আল-আমিনের অনেক বুদ্ধি। সে নতুন স্যান্ডেলের ভিতরে সুকৌশলে ১২৫০ (এক হাজার দুই শত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে জুতার ব্যাগে ভরে। মনে মনে অনেক স্বপ্ন তার, অনেক সাধ, এই চালানটা ঠিকমত টার্গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই হয়!
আল-আমিন গতরাতে পল্লবী থানাধীন অরিজিনাল ১০ নম্বর এলাকা দিয়ে তার স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ভদ্রবেশে এগিয়ে চলেছে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আর সামান্য কিছুক্ষণ বাকি। আল-আামিন খুবই excited! চোখে সাফল্যের হাতছানি! খুব শিগগিরই রঙিন স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
কিন্তু বিধিবাম! পল্লবী থানার এসআই রহিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হঠাৎ আল-আমিনের স্বপ্ন ভঙ্গ করলো। জুতাসহ ধরে ফেললো আল-আমিনকে। শুরু হলো আল-আমিনের চোটপাট। আল-আমিনের ডায়ালগ \”স্যান্ডেল নিয়েও কি হাঁটতে পারবো না? \” কারণ তখনও জানা যায়নি স্যান্ডেললের ভিতরে কি আছে।
স্যান্ডেল জোড়া দেখতে চাইলে আল-আমিন মোড়ামুড়ি শুরু করলো। আল-আমিনের প্রশ্ন \”স্যান্ডেল দেখার কি আছে\”? নাছোড়বান্দা এসআই রহিম। স্যান্ডেলের বকলেস খুলতেই বেরিয়ে আসলো ১২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়া আল-আমিনের কাহিনীটি এখানেই শেষ করা হলো।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
পল্লবী থানা, মিরপুর।