মহামারী করোনার কারনে আটকে পরা ইতালিপ্রবাসীদের ফেরত যাওয়ার টিকিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে টার্কিশ এয়ারওয়েজ। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে গুলশান-১ এ টার্কিশ এয়ারওয়েজের কার্যালয় থেকে টিকিট দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। টিকিট প্রত্যাশীদের একটি ফরম দেওয়া হচ্ছে। সেই ফরমে তাদের নাম, মোবাইল নম্বর, টিকিট নম্বর, দেশে থাকার কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হচ্ছে। এরপর সেটি জমা নেওয়া হচ্ছে।
টার্কিশ এয়ারওয়েজের সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক কর্মকর্তা ইজাজ কাদরি জানান, যাদের রেসিডেন্স কার্ডের (দেশে থাকার) মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ আগে শেষ হবে তাদের আগে টিকিট দেওয়া হবে।
ইজাজ কাদরি বলেন, আমরা এখানে সবার ফরম পূর্ণ করে জমা নিচ্ছি। ডেটাবেইস তৈরি করব। তারপর মোবাইলে বার্তা দিয়ে তাঁদের ডেকে টিকিট রিইস্যু করব। যারা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কিনেছেন তারা সেখান থেকেও টিকিট নিতে পারবেন।
গতকাল শনিবার টিকিট দেওয়ার কার্যক্রমের প্রস্তুতি চলছিল। গতকাল প্রায় ২৫০ জনকে টোকেন দেওয়া হয়। টোকেন অনুযায়ী আজকে অনেকেই টিকিট রিইস্যু করেছেন।
মোহাম্মদ শহীদ নামে এক ইতালিপ্রবাসী বলেন, তিনি গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন। ৯ মার্চ তাঁর ইতালি ফেরার কথা। করোনার জন্য যেতে পারেননি। গতকাল টোকেন নেওয়ার পর আজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকিট রিইস্যু করেছেন। তাঁর ফ্লাইট আগামী ১ নভেম্বর। ফ্লাইট ছাড়ার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিনি কোভিড পরীক্ষা করাবেন।
আবদুল্লাহ আল সবুজ নামে এক টিকিটপ্রত্যাশী অবশ্য কিছুটা উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা স্লিপ জমা দিচ্ছি। কিন্তু মিস হতে পারে। মিস হলে আমরা কীভাবে বুঝব?’ আবদুল্লাহর রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদ ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
টার্কিশ এয়ারওয়েজ জানায়, আপাতত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যাদের রেসিডেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাদেরই তারা টিকিট দেবেন। এরপরে ক্রমান্বয়ে টিকিট দেওয়ার কার্যক্রম চলবে। তাদের ঢাকা থেকে প্রত্যেকদিন একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। ইস্তাম্বুল হয়ে ইতালির পাঁচটি রুটে এসব ট্রানজিট ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
টিকিট দেওয়ার কার্যক্রম কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সড়ক অবরোধ হয়নি। সকালে কিছুটা ভিড় থাকলেও মাইকিংয়ের পর তা কমে গেছে।