ঈদুল আযহা মানেই কোরবানির পশুর কেনাকাটা। আর তাতে হাত বদল হয় কোটি কোটি টাকা। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় জাল নোট তৈরির সংঘবদ্ধ চক্ররা। কোরবানির পশুর হাট, শপিংমল ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময় কৌশলে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার জাল নোট। এমনই একটি চক্রকে ১৮ জুলাই গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি জাল নোট ও নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু (৩২), মোঃ রুবেল (২৮) এবং মোঃ আলম হোসেন (২৮)। এসময় তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ১০০০ ও ৫০০ টাকা নোটের ৩৫ লাখ জাল টাকাসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও উপকরণ জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন,‘ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ জুলাই বিকালে বংশাল থানার শহীদ নজরুল ইসলাম স্মরণীর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে মোঃ আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় আলমের কাছ থেকে ৩ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আলম স্বীকার করেন, দণি কেরানীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ পূর্বপাড়ার শহীদ বেলায়েত রোডের একটি বাসায় বাংলাদেশি জাল টাকা তৈরি করেন তাঁর অপর দুই সহযোগী। পরে আরেক অভিযানে গ্রেফতার করা হয় সেই চক্রের দলনেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে লামু ও মোঃ রুবেলকে। এসময় ঐ বাসা থেকে আরো ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই চক্রটি জালনোট তৈরি করে আসছিল। আর্থিক লেনদেনের সময় কৌশলে বাজারে জাল নোট ছেড়ে দেয় এই চক্রের সদস্যরা। এ কাজে তাঁদের সহায়তা করেন হাবিব মোল্লা, জীবন, মজিবুর ও রানা। এ সংক্রান্ত রাজধানীর বংশাল থানায় বিশেষ মতা আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে।’