ভাগ্নেকে বাঁচাতে পারেনি সৌরভ

ঢাকার সাতরওজা এলাকার একটি পিভিসি পাইপ কারখানার কিশোর শ্রমিক সৌরভ (১৭)। তার দুই ভাগ্নে সাইফুল (১৭) ও সায়েম (১৯) ওই কারখানাতেই কাজ করতো। ওই এলাকায় একটি মেসে এক সঙ্গে থাকতো তারা।

প্রতি সপ্তাহেই তারা গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ যায়। এ সপ্তাহে নির্ধারিত ছুটির একদিন পর সোমবার (২৯ জুন) তারা বাড়ি থেকে ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চে করে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়া হলো না তাদের।

সদরঘাটে নোঙর করার আগ মুহূর্তে ‘ময়ূর-২’ লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি। তখন সৌরভ এক ভাগ্নে সাইফুলকে নিয়ে সাঁতরে একটি ট্রলারে ওঠতে পারলেও সায়েম নিখোঁজ হয়। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে সায়েমের মরদেহ শনাক্ত করে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় সৌরভ।

সৌরভ বলেন, শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ছেড়ে আসে। লঞ্চটি প্রায় সদরঘাট পর্যন্ত চলে এলেও ঘাটে নোঙর করার আগেই পেছন থেকে বড় একটি লঞ্চ ধাক্কা দেয় আমাদের লঞ্চটিকে। ধাক্কা লেগেই লঞ্চটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। অল্প কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও বেশিরভাগ যাত্রীই নিখোঁজ হয়।

Scroll to Top