ঢাকা শহরের সব খাল সংস্কার করে পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলের আদলে এনে দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এছাড়া, ঢাকা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২৭ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত সদ্য সমাপ্ত হজ ক্যাম্প থেকে বনরুপা হাউজিং পর্যন্ত খননকৃত খালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ঢাকা ও এর আশ-পাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরে যেসব খাল রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে হাতিরঝিলের মতো অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।
‘ঢাকা শহরের খালগুলোকে একটির সঙ্গে আরেকটির সংযোগ করিয়ে এগুলোকে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারলে ঢাকার সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে সব জনপ্রতিনিধিদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যদি জনগণকে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি এবং সংবিধানের মূলমন্ত্র অনুযায়ী কাজ করি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর আভিষ্ট লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে।
হজ ক্যাম্প থেকে বনরুপা হাউজিং পর্যন্ত খননকৃত খালের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। তিনি আরও বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের উন্নয়নে যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য যেকোনো নতুন প্রকল্প নিয়ে আসলে তার মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণে জনপ্রতিনিধিদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে সময়মতো করতে পারলে সহজেই দেশের উন্নয়ন অর্জিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মের জন্য যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবে রূপ দিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান নাঈম ও জাকিয়া সুলতানাসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।