নির্যাতন যৌতুক দাবি ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে স্বামী রেজাউল করিম প্লাবনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুল। বিচার চেয়ে ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত প্লাবনসসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করেনি। শেষ পর্যন্ত এই গণমাধ্যমকর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে একাই মানববন্ধন করেন।
পারুলের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি কি বিচার পাবো না? যৌতুক দাবি, নির্যাতন ও ভ্রুণ হত্যাকারী প্লাবনের গ্রেফতার চাই। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই মানববন্ধনের সময় পারুলের চোখ গড়িয়ে শুধু পানি পড়ছিল।
পারুল জানান, এক মাস পনের দিন হয়েছে রেজাউল করিম প্লাবনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। বিচার চেয়ে কত ধরনা দিচ্ছেন। প্ল্যাবন ঢাকা শহরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ নাকি তাকে খুঁজে পায় না!
তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসনের অবহেলা কাজে লাগাচ্ছে প্লাবন। প্রতিনিয়ত সমঝোতার চাপ, হুমকি, ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই উপায়ান্তর না দেখে ন্যায়বিচারের দাবিতে আজ একাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়ান তিনি।
তিনি আরো জানান, এরপরও বিচার না পেলে প্লাবনকে গ্রেফতারের দাবিতে হাতিরঝিল থানার সামনে দাঁড়াবেন। প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছেও বিচার চাইতে দাঁড়াবেন। তাতেও কাজ না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তিনি।
যৌতুক দাবি, যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে গত ১১ মে হাতিরঝিল থানায় প্লাবনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাজিদা ইসলাম পারুল।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২ এপ্রিল যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার প্লাবনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে প্লাবন ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দাবি করেন পারুলের কাছে। একাধিক নারীর সঙ্গে প্লাবনের অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কথা জেনে যান পারুল। অনৈতিক সম্পর্কে বাধা ও যৌতুক না দেওয়ায় পারুলকে নির্যাতন করা হয়।
মারধরের কারণে পারুলের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। ৫ মে তিনি প্লাবনের গ্রামে বাড়ি গেলে সেখানেও মারধরের শিকার হন। প্লাবনের বড় ভাই এমএ আজিজ, ছোট ভাই এসএম নিজামউদ্দিন এবং বাবা সামসুল হক ও মা মারধর করেন পারুলকে।