আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাকের সামনের কেবিনে গোপনে ৩০ কেজি গাঁজা পাচারকালে গ্রেফতার ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া তিন জন হলেন- মো. আলাউদ্দিন (৩৭), জালাল উদ্দিন (৩৭) ও শারাফাত হোসেন মেহেদী (১৫)।
গতকাল শুক্রবার (১৯ জুন) ভোরে ওই তিন জনকে আটক করা হয়। শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ধানমন্ডি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে র্যাব-২-এর একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ ওই ৩ জনকে আটক করে। অভিযানকালে ট্রাকের সামনের কেবিনে লুকানো অবস্থায় ৩০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। তারা সীমান্ত এলাকা থেকে ওই গাঁজা এনে ঢাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল।
র্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. জাহিদ আহসান বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি ট্রাকে করে গাঁজা নিয়ে কয়েকজন মাদক কারবারি সাত মসজিদ রোড হয়ে ধানমন্ডি এলাকায় যাবেন। ওই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা শুক্রবার ভোর ৫টা ৪০ থেকে ধানমন্ডি ১৪/১ সড়কে ওঁৎ পেতে থাকি। সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ট্রাকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক থামিয়ে দৌড়ে ৩ জন পালানোর চেষ্টা করেন। সে সময় তাদের আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা ট্রাকের সামনের কেবিনের ভেতর থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় শনিবার ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হলো।
র্যাব জানায়, জব্দ গাঁজার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। বর্তমানে গাঁজার চাহিদা বেশি থাকায় উচ্চ দামে বিক্রির জন্য বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা থেকে এগুলো রাজধানীতে আনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশল ব্যবহার করছে মাদক কারবারীরা।