আজ রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল থেকে পালিয়ে আদাবরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আব্দুল মান্নান খন্দকার নামে এক করোনা আক্রান্ত রোগী।
আজ শনিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে আদাবর থানা পুলিশ। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোমিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আদাবর ১৭/১৮ হোসেন হাউজিংয়ের সেন ম্যানশন নামে একটি বাড়ির পাশে একটি কাঁঠাল গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুল মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মান্নান ওই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করতেন। ১১ তলার ছাদের একটি রুমে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন।
জানা গেছে, আব্দুল মান্নান খন্দকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার তার শরীরের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তিনি তার স্ত্রী মমতা খাতুনকে ফোন করে বলেন, আমি আজ মরে যাচ্ছিলাম। আমি বাসায় যাব। তখন স্ত্রী বললেন, আসো। এরপর থেকে মান্নানের মুঠোফোনটি বন্ধ। রাত ১০টার পর থেকে মমতা খাতুন তার স্বামীকে ফোনে না পেয়ে ভাই মুসা আজাদীকে ঘটনা জানান।
ঘটনা শুনে মুসা ভোরে ছুটে যান মুগদা হাসপাতালে। হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার বোন জামাই কাউকে কিছু না বলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। পরে আদাবরের সেন সেশন অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোমিন লাশটি উদ্ধার করেন।