করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে গোটা দেশে। তবে রাজধানী ঢাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এ শহরেই এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৫৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
দিন দিন রাজধানীর অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোর করোনা পরিস্থিতিও অবনতির দিকে চলেছে। একক এলাকা হিসেবে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে মিরপুরে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আইইডিসিআরর প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত রাজধানীর ১৫টি এলাকায় ২শ’ জনের ওপরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে মিরপুরে ৯৬৮ জন।
এরপরের অবস্থানেই আছে উত্তরা। এখানে শনাক্ত ৫৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মোহাম্মদপুর। এখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৯৬ জনের।
এছাড়া মহাখালীতে ৪৯৪ জন, মুগদায় ৪৬৬ জন, যাত্রাবাড়ীতে ৪৪১ জন ও ধানমন্ডিতে ৪০২ জন শনাক্ত হয়েছে। মগবাজারে ৩০২ জন ও কাকরাইলে শনাক্ত ৩০৩ জন।
অন্যদিকে তেঁজগাঁও এলাকায় ২৯১ জন, খিলগাঁওয়ে ২৬২ জন, রামপুরায় ২৬০ জন, বাড্ডায় ২৩৮ জন, লালবাগে ২৩৭ জন, রাজারবাগে ২২৬ জন ও গুলশানে শনাক্ত হয়েছে ২০৯ জন।
জেলার পরিস্থিতি
ঢাকা সিটির বাইরে সারাদেশে জেলাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। এ জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৪ জন। তারপরেই অবস্থান করছে নারায়ণগঞ্জ। এ জেলায় শনাক্ত রোগী ২ হাজার ৮৭৫ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা সিটি ব্যতীত ঢাকা জেলা। এ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৭ জন।
এছাড়া কুমিল্লায় ১ হাজার ৪১০ জন, মুন্সিগঞ্জে ১ হাজার ৩৮৫ জন, গাজীপুরে ১ হাজার ২২৮ জন, কক্সবাজারে ১ হাজার ১৯৪ জন, নোয়াখালীতে ৯৭০ জন, ময়মনসিংহে ৭৯২ জন, সিলেটে ৬৭৬ জন, ফরিদপুরে ৫৮৯ জন, রংপুরে ৫৮০ জন, কিশোরগঞ্জে ৪৬৯ জন, ফেনীতে ৪০৯ জন ও জামালপুরে ৪০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগের পরিস্থিতি
বিভাগভিত্তিক সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এ বিভাগে মোট শনাক্ত রোগী ৩২ হাজার ৩৫৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে শনাক্ত ২২ হাজার ৫৬৫ জন। মোট ৫৭১ জন শনাক্ত নিয়ে বিভাগের তালিকায় সবচেয়ে নিচে আছে বরিশাল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২ হাজার ৮৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ১৩৯ জনে।
এছাড়া শনাক্ত রোগীদের মধ্যে শেষদিন সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হলেন।