ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে চিরুনি অভিযান। আজ শনিবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে এই অভিযান শুরু হয়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সকালে অঞ্চল-৪-এর (মিরপুর-১০) ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর পুল পাড়, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কলাওলা পাড়া, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ সাতটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
ডিএনসিসি\’র অঞ্চল-৪-এর সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাতটি ওয়ার্ডে একসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। টানা ১০ দিন ধরে এ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ আলম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে এ অভিযান চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে, অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে অভিযান চালানো হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সারা ডিএনসিসি এলাকায় চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে। অভিযান শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে।
প্রতিটি সাবসেক্টরে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যেগুলো এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে।