দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে মহামারী করোনার তাণ্ডব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নারী ও শিশুসহ আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা মারা যান। তাদের সবাই করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেলে কবিতা মন্ডল নামের ৫৫ বছরের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঢামেকে মৃতদের অর্ধেকের বেশিই ঢাকার বাসিন্দা। তারা হলেন, গাজীপুরের মারদিপালী (২৩ দিন), নোয়াখালীর ফাতেমা (৫৫), টাঙ্গাইলের আবদুল খালেক (৬৫), ঢাকার নাজিম (৬৬), ওয়াহিদ মুরাদ (৪৮), রত্না (৫৬), সালমা পারভীন (৫৬), মানিক (৭০), কাচেরা (৬৫), নাসিমা (৪২), পিরোজপুরের রহমত আলী (৫২), দোহারের আবদুর রশিদ (৭০) ও বরিশালের নুরজাহান (৭৫)। এ ছাড়া গতকাল বিকালে খুলনা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যাওয়া কবিতা মন্ডলের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা শুকদারা এলাকায়।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওই দিন থেকে গত ৯ মে পর্যন্ত দেশে ভাইরাসটিতে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৯২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ।
দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে ১২ মে সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) টিমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে ২১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৬৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১১০ জন খুলনা বিভাগের, ৮৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৮৪ জন বরিশাল বিভাগের, ৬৬ জন সিলেট বিভাগের এবং ৬৫ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা।